সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৬

ফ্রিল্যান্সারদের সফলতার কথা

সফলতার কথা

শনিবার (23/02/13) অনুষ্ঠিত “আমার ফ্রিল্যান্সিং জীবনঃ ভিডিও নাইট” অনুষ্ঠানে আমি আমন্ত্রিত হয়েছিলাম একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আমার অভিজ্ঞতা সবার সামনে তুলে ধরার জন্যে। এই ধরনের ইভেন্টে আমন্ত্রিত হয়ে আমি অনেক আনন্দিত। যদিও আমাকে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আমন্ত্রন জানানো হয়রছিল তবে সবার অভিজ্ঞতার গল্প শুনে এটুকু আমি পরিষ্কার বুঝতে পারছি যে আমি এখনও ১০০০ সফল ফ্রিল্যান্সারদের একজনও হতে পারিনি। আমার গল্পটা খুবই সাধারণ এবং ছোট। তবে সেখানে অন্যদের গল্প থেকে আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। তবুও লেখার জন্যে গল্পটা দিয়েই শুরু করি।

আমার ফ্রিল্যান্সিং জীবনঃ

২০০৫ সালে যখন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তখন বিভিন্ন পত্রিকা এবং লিফলেটের মাধ্যমে জানতে পারি “ঘরে বসে অনলাইনে আয় করুন” জাতীয় একটি ব্যাপার আছে। আমি সবসময় এই ধরনের কোন কাজের প্রত্যাশায় ছিলাম। তাই ঐসব ঠিকানায় যোগাযোগ শুরু করলাম। অনেক জায়গায় সরাসরি গেলাম। সবার কথা আমার কাছে সন্তোষজনক মনে হতো না। টাকা পয়সার ব্যাপারও ছিল। এটুকু বুঝলাম কম্পিউটার জ্ঞান অতি জরুরি। কম্পিউটার কিনে ফেললাম। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হল না। পূর্বের কোন ধারণা না থাকায় দু দিন পর পর এটা ওটা সমস্যা হতো, এক সময় পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেলো, আমি হতাশ হলাম। তারপর হার্ডওয়্যার এর উপর একটা কোর্স করলাম। পাশাপাশি সাইবার ক্যাফেতে বসে নানান ব্যাপার নিয়ে ঘাটাঘাটি করতাম। আমার বন্ধু মাকসুদ একদিন oDesk এর ব্যাপারে আমাকে জানালো। oDesk এ সাইন আপ করি ২০১০ সালের আগস্ট মাসে। আরও ঘাটাঘাটি করে দেখলাম আগে কোন একটা নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর পূর্ণ ধারণা থাকতে হবে। মাকসুদ তখন এস, ই, ও, শিখছিল। রনি এবং মনির ছিল ওর সাথে। আমি এবং রানা যোগ দিলাম। সবাই মিলে প্রচুর পড়াশোনা করতাম, শেয়ার করতাম। আস্তে আস্তে করে শিখছিলাম এস, ই, ও, এবং ইন্টারনেট মার্কেটিং এর আরও কিছু বিষয়। কাজ খুজতে শুরু করলাম বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে। ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ প্রথম কাজ পেলাম oDesk এ। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত কাজ করছি আর শিখছি। এই পর্যন্ত মোট ১৭টি প্রোজেক্ট এ কাজ করেছি। আমার এই পর্যন্ত আসার পিছনে যাদের অবদান সবচেয়ে বেশী, যাদের সহযোগিতা ছাড়া আমি এইটুকুও করতে পারতাম না তারা হল আমার চার বন্ধু মাকসুদ, রানা, রনি এবং মনির। এই চারজনের কাছে আমি ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ।

আমার কাজের ক্ষেত্রসমূহঃ

শুরুর দিকে লিংকবিল্ডিং এর বিভিন্ন পদ্ধতি শিখছিলাম, পরে এস, ই, ও, এর অন্যান্য অংশ নিয়ে পড়াশোনা করি। তারপর ইন্টারনেট মার্কেটিং সম্পর্কে পড়াশোনা করি। এখন ইন্টারনেট মার্কেটিং এর উপরই দুটি প্রজেক্টে কাজ করছি। আর কাজের পাশাপাশি ওয়েব ডিজাইনিং এন্ড ডেভলপমেন্ট শিখছি। এইচ, টি, এম, এল এবং সি, এস, এস সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা হয়েছে। বাকিটাও শিখে ফেলব ইনশাআল্লাহ্‌।

নতুন সম্ভাবনার নাম ফ্রিল্যান্সিংঃ

বর্তমানে বাংলাদেশে বিশ্বমানের এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অনেক সফল ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। যাদের সফলতার গল্প শুনে অনেকেই নতুন করে ফ্রিল্যান্সিং এ আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটা সুখবর। সাম্প্রতিক সময় সাইদ ভাই, DEVS TEAM এবং আরও কিছু একক ফ্রিল্যান্সার তাদের নিজ নিজ কাজের জন্যে আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন, বিজয়ী হয়েছেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়। নিজেদেরকে যেমন প্রমাণ করেছেন বিশ্বসেরা হিসেবে একইসময় প্রতিনিধিত্ব করেছেন বাংলাদেশের কাজের গুণগত মানকে এবং বাংলাদেশকে। প্রতিদিন প্রায় এক কোটি টাকার সমমানের বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে এই ফ্রিল্যান্সাররা। এদের প্রায় সবাই ঘরে বসে কাজ করে কোন রকম প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা ছাড়া। সবাই মিলে আরও অনেক ভালো ভালো কাজের মাধ্যমে আমরা নিজেরা এগিয়ে যাব এবং একইসাথে আমাদের দেশটাকেও এগিয়ে নিয়ে যাব। আমি ব্যাক্তিগতভাবে চাই আমার দেশের তরুন প্রজন্ম ফ্রিল্যান্সিং এর প্রতি আগ্রহী হয়ে নিজেদেরকে দক্ষ ও যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলবে। সারা বিশ্বের অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে নিজেদেরকে সফলতার সাথে পরিচিত করবে। দেশের বেকারত্বের হার কমাবে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। চাকরীর আশায় বসে না থেকে নিজেরাই নতুন নতুন পদ সৃষ্টি করে বেকারত্ব দূরীকরণে সরকারের সহায়ক হবে।

নারীর স্বাধীনতায় ফ্রিল্যান্সিংঃ

সম্ভাবনার আরও একটি বড় বিষয় হল এর সাথে নারীর সম্পৃক্ততা। আমাদের দেশে যেখানে উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে অনেক শিক্ষিত নারীও পড়াশোনা শেষ করে তেমন কিছু করেন না বা অনেকে করার সুযোগ পান না। সেখানে প্রচুর শিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত নারী ফ্রিল্যান্সিং করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। নিজেরাই হচ্ছেন উদ্দোক্তা। সংসার সামলানোর সাথে সাথে ঘরে বসেই আয় করার সুযোগ পাচ্ছে তারা। এতে করে নারীরা যেমন নিজেরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন তেমনি তারাও আবদান রাখছেন দেশের অর্থনীতিতে। আর প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে নারীর স্বাধীনতা।

ফ্রিল্যান্সিং এবং/অথবা আউটসোরসিং ঃ

বাংলাদেশে এখন কয়েকশত ফ্রিল্যান্সার আছেন যারা তাদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ঈরষনীও সাফল্য পেয়েছেন। যারা আমাদের কাছে অনুকরণীয়। এছাড়াও আরও সহস্রাধিক ফ্রিল্যান্সার আছেন যারা মোটামুটিভাবে সফল। তারা সবাই আউটসোরসিং এর মাধ্যমে নিজেকে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কিন্তু সবাই সবসময় সঠিকভাবে সঠিক কথা বলতে পারেনা বা বিঝাতে পারেন না। আমি অনেককেই দেখেছি যারা ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোরসিং এই বিষয় গুলি সম্পর্কে স্পষ্ট করে জানেন না বা বুঝেন না। অনেকেই আছেন যারা শুধুমাত্র হাজার হাজার ঘন্টা কাজ করাকেই সফলতা মনে করেন। আবার অনেকেই আছেন যারা মনে করেন যে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করাই হল সফলতা। আমাদেরকে আগে পরিস্কারভাবে জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোরসিং এই বিষয়গুলি। যেমন ধরি মোবারক হোসেন ভাইয়ের কথা। তিনি প্রথমত একজন ব্যাংকার। একজন ফিনান্সিয়াল এনালিস্ট হিসেবে একটি ব্যাংকে চাকরিরত আছেন। দ্বিতীয়ত একজন বিজনেস প্লানিং কনসাল্টেন্ট হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং করছেন। ফ্রিল্যান্সিং এর জন্যে কাজ গুলো অউটসোরস করছেন বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে। তাহলে আমি তাকে বলতে পারি তিনি একজন ফিনান্সিয়াল এডভাইজার। একাধারে কাজ করছেন ব্যাংকে, পাশপাশি আউটসোরসিং করছেন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে। একইরকম আরও অনেক উদাহরন আছে আমাদের সামনে। আমাদের দেশে এমন কয়েকশ প্রতিষ্ঠানও আছে যারা আউটসোরসিং কাজ করছেন বিভিন্ন সেক্টরে। ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে জড়িত প্রায় সবাই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানেন। কিন্তু নতুনরা সবাই ভালভাবে জানেন না। এই অংশটুকু তাদের জন্যেই লেখা।

সফল হওয়ার পূর্বশর্তঃ

আমার মতে ফ্রিল্যান্সিং লাইফ এ সফল হতে হলে যে যে গুন গুলো আমার মধ্যে অবশ্যই থাকা উচিত তা হল নিজ নিজ কাজের ক্ষেত্রে দক্ষতা, সততা, ধৈর্য, কঠোর পরিশ্রম এবং ইংরেজিতে যোগাযোগ করতে পারার ক্ষমতা।

ফ্রিল্যান্সিং এ আগ্রহী নতুনরা যা করতে পারেনঃ

নতুন যারা ফ্রিল্যান্সিং এ আগ্রহী তাদের কে প্রথমেই বলবো কাজ শিখুন, কাজ পাবেন। অনেকেই আছেন যারা অল্প অল্প কাজ শিখেই এপ্লাই করা শুরু করে, এদের কেউ কেউ কাজ পেয়েও যায়। কিন্তু সফলতার সাথে সবাই কাজ শেষ করতে পারে না। তখন ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পরে। বাজে কমেন্ট ও ফিডব্যাক পাওয়ার কারনে নতুন কাজ পেতে সমস্যায় পরে। কিছুদিনের মধ্যেই হতাশ হয়ে পরে এবং অন্যকেও নিরুৎসাহিত করে। তাই কাজ ভালোভাবে শিখে তারপর শুরু করুন। এরপর আর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল কমিউনিক্যাশন স্কিল। আমি এমন কিছু দক্ষ ডেভলপারকে চিনি যারা অনেক কঠিন কঠিন সমস্যা খুব সহজেই সমাধান করতে পারেন। কিন্তু অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে গিয়ে সফল হতে পারেননি শুধুমাত্র ক্লায়েন্ট কি বলছে তা বুঝেননি অথবা ক্লায়েন্টকে বুঝাতে পারেননি তিনি কিভাবে কাজটি করবেন। এটি শুধুমাত্র কমিউনিক্যাশন স্কিলের অভাবে হয়। ইংরেজিতে অনেক ভালো না হলেও চলবে। কিন্তু নুন্যতম কমিউনিক্যাটিভ ইংলিশ জানা থাকতে হবে। এরপর আসে ধৈর্যের কথা। নিয়মিতভাবে আপনার কাজ থাকবে কিংবা প্রতিমাসে আপনি অনেক অনেক টাকা কামাবেন এটা আশা করা ঠিক হবেনা। এমন কিছু সময় আসবে যখন প্রচুর আবেদন করার পরও কোন রিপ্লাই পাবেন না। এটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। সারা বিশ্ব থেকে যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী আসবে সেখানে অনেক সময়ই কাজ না পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হয় নতুন কাজের জন্যে। তাই যারা এই চ্যালেঞ্জ নিতে পারবে তাদেরই শুধু এ ধরনের কাজে আসা উচিত হবে। এছাড়াও কিছু কিছু খুঁটিনাটি বিষয় আছে যেগুলো সময়ের সাথে সাথে শেখা হয়ে যায়। আর আপনি কোন ধরনের কাজ করবেন সেটা ঠিক করবেন আপনি। হাজারো রকমের কাজ আছে। আপনার যেই কাজটার প্রতি আগ্রহ আছে সেটার উপর দক্ষতা অর্জন করুন তারপর কাজে লেগে পড়ুন। এ বিশ্ব আপনার জন্যেই অপেক্ষা করছে।

সফল ফ্রিল্যান্সারদের কাছে আমার প্রত্যাশাঃ

সেদিনের ইভেন্টে আমি কিছু সফল ফ্রিল্যান্সারের গল্প শুনছিলাম। তাদের নিজেদের জিবনের গল্প এবং বিভিন্ন দিকনির্দেশনা আমাকে অনুপ্রানিত করেছে আজকে লিখতে বসতে। এদের মধ্যে যাদের গল্প এবং উপদেশ দুইটাই আমাকে অনুপ্রানিত করেছে তারা হল সাইদ ইসলাম, মোবারক হোসেন, নাদিম সকার, জহিরুল ইসলাম, জাকারিয়া স্বপন এবং প্রথম সারিতে থাকা সেই আংকেল (দুঃখিত নাম ভুলে যাওয়ার জন্যে)। তাদের গল্প এবং দিকনির্দেশনা দুটির মাঝেই শিক্ষণীয় অনেক কিছু আছে। কিন্তু আমাদের দেশের কিছু অসাধু লোক এই সফল ব্যাক্তিদের সাফল্যের ইতিহাস বিক্রি করে নতুন নতুন ব্যাবসা খুলে বসেছে। তারা বিভিন্ন ভাবে অনলাইনে কাজ শিখানোর নামে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এটা আমাদের দেশের একটি পুরানো সমস্যা। আমরা নতুন কোন সম্ভাবনার সৃষ্টি হলে বুঝে এবং না বুঝে টা গলা টিপে হত্যা করি। আমি নিজে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে চাইবো ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে ও যেন এটা না হয়। যেমন অনেক নতুন নতুন ফ্রিল্যান্সাররা অল্প কিছু কাজ শিখেই বিভিন্ন ব্লগ লিখা শুরু করেন। বিভিন্ন বিষয়ের উপর টিউটোরিয়াল বানিয়ে ফেলেন। কেউ কেউ ব্লগ লিখেন ফ্রিল্যান্সার হওয়ার তিন উপায়, দশ উপায় নিয়ে। কিংবা রাতারাতি ডলার কামিয়ে বড়লোক হওয়ার গল্প লেখেন অনেকে। অন্যরা হচ্ছেন দিকভ্রান্ত। রাতারাতি ডলার কামানোর স্বপ্ন নিয়ে সেদিনই হয়ে যান ফ্রিল্যান্সার। প্রিয় টেক কর্তৃপক্ষের উচিত এইসব লেখা প্রকাশের ক্ষেত্রে আরও একটু সতর্ক হওয়া। এই জন্য আমি চাইব যারা সফল তারাও খুব আন্তরিকতা এবং সতর্কতার সাথে বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করেন। আমি চাই যারা সফল তারা যেন আমাদেরকে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং বিভিন্ন উপদেশ দিয়ে আমাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত হতে সহায়তা করবেন। বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন ধারনার পক্ষে বিপক্ষে নিজেদের মতামত তুলে ধরে আমাদেরকে উপকৃত করবেন। এজন্যে আমআদের সবচাইতে বেশী প্রয়োজন একটি নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্ম। সর্বচ্চো সাফল্যপ্রাপ্তরা একত্রিত হয়ে যদি একটি ব্লগ এ নিয়মিত লিখতেন তাহলেও আমরা উপকৃত হতাম। নতুন কোথাও না হোক, এই প্রিয় টেক ও আপনাদের প্ল্যাটফর্ম হতে পারে। কিংবা প্রিয় টেক এর কর্তৃপক্ষ নিয়মিত ভাবে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের উপর অভিজ্ঞ , সফল ও দক্ষ ব্যাক্তিদের লেখা সংগ্রহ করে প্রকাশ করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং জগতে বিদ্যমান প্রতিকুলতাসমুহঃ

এতোসব সম্ভাবনা এবং সফলতার মধ্যেও বেশ কিছু সমস্যাও আছে। এর মধ্যে সবচাইতে বড় সমস্যা হল সরকারী ও বেসরকারি উভয় জায়গা হতেই প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এর মধ্যে আছে দ্রুত গতির ইন্টারনেট সার্ভিসের অভাব, বিদ্যুৎ ঘাটতি, অপর্যাপ্ত ব্যাংকিং ব্যাবস্থা ইত্যাদি। আরও শঙ্কার বিষয় হচ্ছে এই সম্ভাবনা এবং সফলতার গল্পগুলোকে পুজি করে বা ব্যবহার করে কিছু অসাধু লোক বিভিন্ন নামে ভুয়া ট্রেনিং সেন্টার খুলে বসেছে। সেখানে অল্প জানা ট্রেইনাররা ভুল্ভাল কাজ শেখাচ্ছে আগ্রহীদেরকে। যেখানে অনেক তরুন প্রতারিত হয়ে হতাশ হচ্ছে।

শেষকথাঃ

পরিশেষে, এই সম্ভাবনার হাত ধরে আমরা যারা মনে প্রানে তরুন আছি, তারা যেন একটি সুখী, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্যে রেখে জেতে পারি এই কামনাই করি। সবার কাছে একটা প্রার্থণা করি আমি যেন আমার কাজের ক্ষেত্রে সফল হতে পারি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং ভালো থাকবেন।

মোঃ তানভীর রহমান।
ইন্টারনেট মার্কেটিং প্রফেশনাল।
ঢাকা, বাংলাদেশ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন